কিছু মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার সন্ধিটাও ইতি মধ্যে টের পেয়ে
গেছি।
'স্টেশন এর আলোয় শুধু একা আমারই যেন প্রাণ রয়েছে ,বাকি প্রাণহীন ফাঁকা অন্ধকারে প্রানবন্ত কিছু জোনাকির আপোসহীন আনন্দ ,দূরে ট্রেনের হর্নের চলমান বিচলিত আওয়াজে প্রাণের জানান দিচ্ছে।
এই নিস্তব্ধতা বর্ণনা করছে হাজারো মন ভাঙ্গার গল্প।
'মনে মনে এই ই ভাবছিলাম' কারণ একাকিত্ব আর নিস্তব্ধতা নিঃস্বার্থ ভাবনার সুযোগ করে দেয়, আর সেদিন এই সুযোগটা আমি হারাতে একদম রাজি ছিলাম না।
'ক্লান্ত শরীর টা শৈশবের কিছু মুহুর্তকে চোখের সামনে হঠাৎ পরিবেশন করল। সহজ -রঙিন পৃথিবী ছিল তখন । আনন্দ আর খেলাধুলার আঙিনায় কখন যে দায়িত্ব, কর্তব্য আর বার বার আঘাত পাওয়ার পাথর গুলো এসে পরেছে ,বয়সের সাথে সাথে ঠিক বুঝতে পারা যায়নি। '
চারিদিকে তখন দু-চারটে লোকের সংখ্যা বেড়েছে শেষ ট্রেনের প্রতিক্ষায়।
'একটা ঠান্ডা বাতাস আমায় সব ভাবনা-চিন্তা আর আত্মগ্লানি থেকে ছন্দে ফিরিয়ে এনেছে ততক্ষণে।
যথারীতি ট্রেন এলে, ফাঁকা জানালার ধারে বসে বাইরের হঠাৎ বাড়ি ফেরার ব্যস্ততাটা চোখে পড়ল।
আমি ওদিকেই চেয়েছিলাম।
'আবছা আলোয় খুবই পরিচিত একটা চেহারা' জোৎস্নার মতো উঁকি দিচ্ছে স্টেশন চত্বরে। আমার হৃদয়ের কবরে তখন মুখশ্রীটা দেখার প্রবল ইচ্ছা দুমড়ে-মুচড়ে হাহাকারের রূপ নিয়েছে।
কিন্তু সেদিন সময়ের বুঝি একটু বেশিই তাড়া ছিল , তাই সে শুধু জানালার বাইরের অন্ধকার থেকে একটা বাতাস আমার দিকে ছুঁড়ে পরিহাস করে নিমেষেই মিলিয়ে গেল।
No comments:
Post a Comment